দশমিনা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস হত্যা মামলায় প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমানকে আক্রোশ ও হয়রানিমূলক আসামি করার প্রতিবাদে ও মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতির দাবিতে দশমিনায় মানববন্ধন হয়েছে। দশমিনা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সুধি মহলের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে দশমিনা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা প্রদান করেন দশমিনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিপন কুমার কর্মকার, সাবেক সভাপতি এইচ এম ফোরকান, মানবজমিন প্রতিনিধি, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ । বক্তারা তাপস হত্যা মামলায় মিজানকে আক্রোশ ও হয়রানিমূলক আসামি করায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, ঘটনান সময় অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যার ভিডিও সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে সংরক্ষনে আছে। অথচ ওই হত্যা মামলায় সাংবাদিক মিজানকে আসামি করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি স্বরুপ।বক্তারা অবিলম্বে মামলা থেকে সাংবাদিক মিজানকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন । বক্তারা আরও বলেন , ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি সাংবাদিক মিজানসহ নিরপরাধ কেউ যেন এই মামলায় হয়রানির শিকার না হন , তা দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি।
উল্লেখ্য ঈদের আগের দিন ২৪ মে, রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফলে থানার পূর্ব পাশে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনের সড়কের খালি জায়গায় বাউফল পৌরসভার উদ্যোগে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লেখা সংবলিত ব্যানার স্থাপন করা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস আহত হন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে মারা যান। তাপসের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে । এ ঘটনায় ২৫ মে রাতে তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাত জামশেদসহ ৩৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক মিজানকে ২০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
Leave a Reply